Cleaning of Furniture
(toc)
ভূমিকা:
মানুষের জীবনের উন্নতির প্রধান উপাদান হলো শিক্ষা, যা মানুষের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য । তবে, সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে । প্রাচীনকালে শিক্ষা ছিল মূলত পুঁথিগত, কিন্তু আধুনিক যুগে শিক্ষার সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য এবং পরিধি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে । শিক্ষা ব্যবস্থার সফলতা নির্ভর করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক, পাঠ্যক্রম এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশের উপর । বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষা অর্জনের মূল কেন্দ্র ।
শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য সময় কাটায়, তাই বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন চেয়ার, টেবিল, ব্রেঞ্চ, আলমারি, দরজা- জানালা, পাখা ইত্যাদি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয় । নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর জন্ম হতে পারে, যা শিক্ষকদের অসুস্থ করে তুলতে পারে । তাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রও নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন ।
বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রের পরিচ্ছন্নতা বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে । শিক্ষার্থীরা যদি একত্রে এই কাজটি করে, তবে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র নতুনভাবে সুন্দর হয়ে উঠবে ।
Community based activities complete Practicum
1. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উদ্দেশ্যাবলী-
- শিক্ষার্থীরা আসবাবপত্র কেন পরিষ্কার রাখা দরকার সেই সম্পর্কে তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারে ।
- বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বিকাশে ও আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
- বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার দিক সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরিষ্কারতা সম্পর্কে সচেতনতা বোধ জাগ্রত করা ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার প্রবণতা সৃষ্টি করা ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রম মর্যাদা, কর্ম অভিজ্ঞতা ও কর্ম মানসিকতার প্রতি আগ্রহ গড়ে তোলা ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য্যায়ন সম্পর্কিত সু- অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা ।
- বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দ্বারা একটি মনোরম ও শিক্ষামূলক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব ।
2. বিদ্যালয়ে আসবাবপত্রের তালিকা-
- বেঞ্চ( হাই বেঞ্চ ও লো বেঞ্চ)
- টেবিল ও চেয়ার
- বোর্ড
- আলমারি
- মানচিত্র ও চার্ট ও মডেল ব্যবহারের জন্য দেয়াল বোর্ডের ও টেবিল
- বৈদ্যুতিক পাখা ও আলো
I. বেঞ্চ- বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্য যে আসবাবপত্রটি ব্যবহৃত হয় । সেটি হল বেঞ্চ । বেঞ্চ মূলত দু'রকম হয় । হাই বেঞ্চ ও লো বেঞ্চ । হাই বেঞ্চে শিক্ষার্থীরা বই খাতা পত্র রেখে পঠন- পাঠন করে এবং লো বেঞ্চে শিক্ষার্থীরা বসে । একটি বেঞ্চের মূলত পাঁচজন করে বসা হয় । বর্তমানে একজন করে বসার মতো বেঞ্চ নির্মাণ করা হয় ।
II. টেবিল ও চেয়ার- বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা এসে বসার জন্য এবং পঠন পাঠন এর জন্য চেয়ার ও টেবিল ব্যবহার করা হয় । শিক্ষকরা চেয়ারে বসে পঠন- পাঠন করার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অংশগ্রহণের হার কমতে থাকে । ফলে বর্তমানে শ্রেণিকক্ষে চেয়ার থাকলেও শিক্ষক- শিক্ষিকারা চেয়ারে না বসে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের পঠন- পাঠন দান করেন । তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনসংযোগ এবং শ্রেণিকক্ষে ইতিবাচক অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি পায় ।
III. বোর্ড- শ্রেণিকক্ষে পঠন পাঠনের জন্য হোয়াইট বোর্ড বা ব্ল্যাকবোর্ড থাকে । শিক্ষক শিখনের সময় বোর্ড ব্যবহার করে থাকে ।
IV. আলমারি- অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে আলমারির উপস্থিতি লক্ষ করা যায় । শিক্ষক আলমারিতে শ্রেণীকক্ষের উপযোগী শিখন উপকরণ, যেমন- চার্ট, মডেল, মানচিত্র, বইপত্র, চক ও ডাস্টার ইত্যাদি রাখে থাকে । কিন্তু অল্প সংখ্যক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আলমারি দেখা যায় । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিচার্স রুমে আলমারির উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ।
V. মানচিত্র, চার্ট ও মডেল রাখার জন্য দেওয়াল টেবিল চেয়ার- শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সময় চার্ট ও মডেল বা মানচিত্র ব্যবহার করে থাকে । সেটি কখনো দেয়ালে বা নির্দিষ্ট টেবিল রেখে পড়ানো হয় ।
VI. বৈদ্যুতিক পাখা ও আলো- শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বৈদ্যুতিক পাখা ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে । যাতে শিক্ষার্থীরা অন্ধকারে বা গরমে মধ্যে শ্রেণিকক্ষে না থাকতে হয় ।
3. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র অপরিচ্ছন্নতার কারণ-
i. শিক্ষার্থীদের অপরিচ্ছন্নতার অভ্যাস- অনেক সময় বহু শিক্ষার্থীরা পেন বা পেনসিল দিয়ে দাগ কেটে রাখা বা অন্য কোনো ধারালো অংশ দিয়ে কাঠের আসবাবপত্রের উপর দাগ কেটে নিজের নাম লেখার চেষ্টা করে এবং দেওয়ালে অঙ্কন প্রভৃতির ফলে আসবারপত্র অপরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে ।
ii. বিদ্যালয় গৃহের অবস্থান- অনেক সময় দেখা গেছে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে গৃহ রাস্তা নিকটে অবস্থিত হয় । সেই সব কারণে আসবারপত্র গুলি ধুলো বালি পড়ে অপরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে ।
iii. শিক্ষকদের উৎসাহের অভাব- বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে তেমনভাবে কোনোরকম উৎসাহ প্রদান করে না । ফলে আসবারপত্র গুলির অপরিচ্ছন্নতা লক্ষ করা যায় ।
iv. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ক্রটি- বিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতা অন্যতম কারণ হল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ।
v. সংরক্ষন ও পরিমার্জনের অভাব- নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বিদ্যালয়ের আসবারপত্র গুলি সংরক্ষন ও পরিমার্জন করা দরকার । কিন্তু অনেক সময় তা করা হয়ে ওঠে না । তার ফলে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে অপরিচ্ছন্নতা লক্ষ করা যায় ।
vi. শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ও মারামারি- অনেক সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অসন্তোষ বা মারামারি করে, তাতে আসবারপত্র ক্ষতিসাধন করে থাকে । যা সময় মতো শ্রেণিকক্ষ থেকে বাহিরে না রেখে পেছনের দিকে রেখে শ্রেণিকক্ষে অপরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি করে থাকে ।
4. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রাখার গুরুত্ব সমুহ-
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত করা হয় । কারণ আমাদের স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকলে যে কোনো কাজে মনো নিবেশ করতে পারি । তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব গুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল ।-
I. সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনে সহায়তা- বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দ্বারা একজন শিক্ষার্থীর দেহ ও মনের পাশাপাশি তাদের বৌদ্ধিক, নৈতিক ও সামাজিক গুণাবলী বিকাশ সাধনে সহায়তা করে । কারণ সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের উপযুক্ত সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠে । যা ব্যক্তির ও সমাজের কল্যাণের জন্য একান্ত প্রয়োজন ।
II. স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ রচনা- মানুষের সু- স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য প্রয়োজন হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরিবেশের । বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আসবারপত্র গুলি সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দ্বারা শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ রচনা করা সম্ভব ।
Iii. সু- অভ্যাস গঠন- আমরা যদি বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রে পাশাপাশি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে পারি তাহলে সেই সু- অভ্যাস গঠনের প্রতিফলন আমাদের সামাজিক কার্যাবলীতে প্রতিফলিত হয় ।
IV. বিদ্যালয়ের প্রতি মমত্ববোধ জাগরণ- বিদ্যালয়কে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতি মমত্ববোধ জাগরিত হয় ।
V. শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা জাগরণ- বিদ্যালয়ে আসবাবপত্র গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃংখলার উন্মেষ ঘটে ।
VI. পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভাব গঠন- বিদ্যালয়ে আসবারপত্র গুলিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে কাজ করতে হয় । তাই তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভাব গড়ে ওঠে ।
VII. কর্ম সক্রিয়তা বৃদ্ধি- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় । এই কর্মসূচিতে নিজের হাতে কাজ করে তাই তারা বিভিন্ন কাজে দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে ওঠে ।
VIII. আত্ম প্রত্যয় ও আত্ম নির্ভরশীলতার উদ্ভব- বিদ্যালয়ে আসবারপত্র গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্ম প্রত্যয় ও আত্ম নির্ভরশীলতার গড়ে ওঠে । যেহেতু একসঙ্গে কাজ করে তাই তাদের মধ্যে আত্ম প্রত্যয় ও আত্ম নির্ভরশীলতার বৃদ্ধি পায় ।
IX. বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর প্রতি মনোসংযোগ বৃদ্ধি- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকার সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী( যেমন- আবৃতি, অঙ্কন ইত্যাদি) তে অংশগ্রহণ করতে পারে । সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীকে সঠিক ও নিপূণভাবে সম্পাদন রাখতে সাহায্য করে ।
X. নান্দনিক বিকাশে সহায়তা- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের আমাদের বিরক্তি একঘেঁয়েমি ইত্যাদি দূর করে নান্দনিকতার বিকাশ লাভে সহায়তা করে ।
XI. ভ্রাতৃত্ববোধের জাগরণ- বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিছন্নতা শিক্ষার্থীরা সবার সাথে মিথস্ক্রিয়ার ফলে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠে ।
XII. শিক্ষার্থীর ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের উপর প্রভাব- বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দ্বারা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের উপর গভীর প্রভাব পড়ে ।
XIII. পরিবেশ দূষণ হ্রাস ও সচেতনতা- বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার দ্বারা পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশের প্রতি সচেতন শীল হয়ে ওঠে ।
XIV. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা- শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দ্বারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করে ।
XV. বাস্তবমুখী- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনোভাবের দ্বারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিহ্মন শিখন কার্যক্রম হয়ে ওঠে বাস্তবমুখী ।
XVI. আসবার পত্রের ব্যবহারিক উপযোগিতা- বিদ্যালয় আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দ্বারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসবার পত্র ব্যবহারিক উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে ।
XVII. দায়িত্বশীলতা- পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে ।
5. বিদ্যালয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার ব্যাপারে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, সেগুলি হল-
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত সু- অভ্যাস গঠন করতে হবে ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে কর্মবন্টন করতে হবে ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে দল বন্টন করতে হবে ।
- শিক্ষার্থীরা যাতে শ্রেণীকক্ষের দেওয়ালে বা বেঞ্চের মধ্য যেখানে সেখানে না লিখতে সতর্কীকরণ নোটিশ দিতে হবে ।
- শিক্ষক নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে ও টেবিল পরিষ্কার রাখতে উদ্বুদ্ধ করবেন ।
- শ্রেণিকক্ষে ডাস্টবিন রাখতে হবে ।
- বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ হওয়ার পর অযথা বৈদ্যুতিক পাখা ও আলো বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে ।
6. শিক্ষকের ভূমিকা-
বিদ্যালয় আসবারপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রাখার জন্য শিক্ষকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । যথা-
- প্রত্যাহিক দিনের সমাবেশে শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করে ।
- বিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে নিজেদের কাজ তা শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি করানো ।
- শিক্ষক- শিক্ষিকাদের শৃঙ্খলাবোধ শিহ্মা দেবেন ।
- সকল শিক্ষার্থীদের অনুযায়ী বিদ্যালয়ে ও শ্রেণিকক্ষে পরিষ্কার পরিছন্ন করতে উদ্বুদ্ধ করবেন ।
- প্রত্যাহিক শ্রেণিকক্ষে পরিষ্কার রাখতে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মাবলী তৈরি করে দেবেন ।
- শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে শেখাবেন ।
7. শিক্ষার্থীর ভূমিকা-
আসবাবপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রাখার জন্য শিক্ষার্থীর ভূমিকা গুলি হল-
- শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল হওয়ার শিক্ষা লাভ করবে ।
- শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম প্রতিপালন করা ।
- শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে ।
- শিক্ষার্থীরা নির্দেশনাগুলি দলবদ্ধ ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম পরিচালনা করবে ।
- শিক্ষার্থীরা একে অন্যের প্রতি ন্যায় ও সদাচারণ করবে ।
উপসংহার-
আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখা বিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, যা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা, এবং সৌন্দর্যবোধকে আরও উন্নত করে । বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র যেমন বেঞ্চ, ডেস্ক, চেয়ার ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য, সেগুলি পরিচ্ছন্ন রাখা শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নয়, শিক্ষার পরিবেশকেও স্বাস্থ্যকর ও মনোরম রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি ।
এই কার্যক্রম আমাদের শেখায় যে পরিচ্ছন্নতা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক দায়িত্বও । নিয়মিত পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা আসবাবপত্রের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং বিদ্যালয়ের সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে । তাছাড়া, একসঙ্গে কাজ করার সময় আমরা সহযোগিতা, দলগত কাজ, এবং পরিশ্রমের মূল্য সম্পর্কে শিখি ।
পরিচ্ছন্ন আসবাবপত্র শিক্ষার্থীদের কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলে । এটি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে ।
আমাদের উচিত এই অভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করা । কারণ, একটি পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় আমাদের শুধু শিক্ষার জন্য আদর্শ স্থান নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার পথ প্রদর্শক । আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি ।