Pedagogical Analysis Bengali Method ( বাংলা পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিস )

Pedagogical Analysis Bengali Method

(toc)

ভূমিকা:

     'Pedagogy' শব্দটি গ্রিক 'Paidagogia' থেকে উদ্ভূত, যার মূল উৎস 'Paidagogos'। এখানে 'Paida' শব্দটি শিশু বা 'Child' নির্দেশ করে; অর্থাৎ 'Padagogos' মানে হল 'একটি শিশুকে পরিচালনা করা' বা নির্দেশনা দেওয়া। প্রাচীন গ্রিসে Pedagogue শব্দটি সেইসব ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হত, যারা শিশুদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা ও নিয়ে যাওয়ার কাজ করতেন। অন্যদিকে, ডেনমার্কে Pedagogue শব্দটি 'Pedagogy-র চর্চাকারী' বোঝাতে ব্যবহৃত হত। মূলত, এই শব্দটি প্রাথমিকভাবে সেইসব ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হত, যারা প্রাক্-বিদ্যালয় শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেমন-কিন্ডারগার্টেন বা নার্সারি স্কুলের শিক্ষক। একইভাবে, হাঙ্গেরিতে 'Pedagogus' এবং 'Teacher' শব্দ দুটি সমার্থকভাবে ব্যবহৃত হত।

     শিক্ষা বিজ্ঞান বা নির্দেশনামূলক তত্ত্ব হিসেবে 'Pedagogy' শব্দটি ইংরেজিতে ব্যবহৃত হয়, যা শিশুদের নির্দেশনা ও পরিচালনার কলা এবং বিজ্ঞান উভয়কেই নির্দেশ করে। শিক্ষণ কৌশল, শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত অবস্থা, পরিবেশ এবং শিখনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করাই 'Pedagogy' এর মূল উদ্দেশ্য।


    বর্তমান সময়ে 'পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিস' বলতে বোঝায় কোনো বিষয়বস্তুর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। শিক্ষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়বস্তুর বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করাই পেডাগজিক্যাল অ্যানালিজম। নির্দিষ্ট শ্রেণির পাঠক্রমের অন্তর্গত বিষয়গুলোকে একক, উপএকক এবং পিরিয়ড সংখ্যা অনুযায়ী ভাগ করে, বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ, পূর্বে অর্জিত জ্ঞান যাচাই এবং কাম্য আচরণগত শিখন সামর্থ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে, শিখন কৌশলের বিভিন্ন পর্যালোচনা, সঠিক মূল্যায়নের জন্য খসড়া তৈরি এবং সম্পর্কিত অভীক্ষাপত্র প্রস্তুত করা হয়। এইভাবে কোনো পাঠ্যসূচির বিশ্লেষণ করা হয়, যা বর্তমানের পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিস বা শিক্ষাবিজ্ঞান বিশ্লেষণ হিসেবে পরিচিত। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষণ ও শিখনের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিসের পরিধি 
(Scope of Pedagogical Analysis)


১. এটির মধ্য দিয়ে যে-কোনো পাঠক্রমের অন্তর্গত যে-কোনো পাঠ্যসূচির পাঠএকক বিশ্লেষণ করা সম্ভব। 
২. পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিসের মধ্য দিয়ে প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যসূচি প্রথমে একক এবং পরে উপএককের বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমগ্র বিষয়ের পাঠ একক বিশ্লেষণ করা যায়। 
৩. পাঠএকক বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে কোনো একজন বিষয়শিক্ষক অনুসন্ধানী প্রশ্ন এবং মূল্যায়নধর্মী প্রশ্নের চিন্তাভাবনা করতে পারেন। 
৪. শিক্ষাবিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণে প্রতিটি এককের মূল্যায়ন ও পুনঃশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট পিরিয়ড উল্লেখ করা থাকে যা পাঠদান প্রক্রিয়াকে সফল হতে সাহায্য করে এবং পুনঃশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদেরও উপরোক্ত সময় শিক্ষার্জনে সাহায্য করে।
 ৫. অভীক্ষাপত্রের খসড়া ও অভীক্ষাপত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অভীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের সচেতন করে তোলে।

পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিসের সুবিধা
(Merits of Pedagogical Analysis)


১. পাঠ্যসূচির অন্তর্গত প্রতিটি বিষয়ের একক ও তার সাপেক্ষে উপএককের বিশ্লেষণ করা থাকলে শিক্ষক তাঁর পাঠদানের সময় বিভাজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করেন। 
২. কোনো নির্দিষ্ট উপএকক পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক কোন্ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন তা পূর্ব থেকেই নির্বাচন করে নিতে পারেন। 
৩. উপএককটি পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক কী ধরনের শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (চার্ট মডেল ইত্যাদি) ব্যবহার করবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে পারেন। 
৪. পাঠদানের সময় কোন্ ধরনের অনুসন্ধানী প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মনে আসতে পারে সে সমাধান।

পেডাগজিক্যাল অ্যানালিসিসের অসুবিধা
(Demerits of Pedagogical Analysis)


১. শিক্ষাবিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণে একক ও উপএককের পাঠদানের জন্য পিরিয়ড সংখ্যা নির্দিষ্ট করা থাকে অর্থাৎ ওই সময়সীমার মধ্যেই উপএককটি শেষ করা দরকার হয়, ফলে এক্ষেত্রে শিক্ষকের স্বাধীনতা কিছুটা খর্ব হয়। 
২. শিক্ষার্থীরা অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় নতুন নতুন তথ্য জানতে চায়, কিন্তু সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকায় সেই তথ্য প্রদান করা শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব হয় না। 
৩. নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উপএককটির পাঠদান সমাপ্ত করতে হয় বলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বৈষম্যের প্রতিও শিক্ষকের নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। 
৪. যে সকল শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট উপএককের পাঠদান করা উচিত, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে শিক্ষকের পক্ষে তাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। 
৫. পাঠএকক বিশ্লেষণ অনুযায়ী পাঠদানের রীতি অনেকক্ষেত্রেই সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাপেক্ষও।


হাওয়ার গান
বুদ্ধদেব বসু

হাওয়াদের বাড়ি নেই, হাওয়াদের বাড়ি নেই, 
নেই রে।
তারা শুধু কেঁদে মরে বাইরে।
সারা-দিন-রাত্রির বুক-চাপা কান্নায়
নিশ্বাস ব'য়ে যায় উত্তাল, অস্থির-
সে কোথায়, সে কোথায়, হায় রে 
বলে তারা, 'পৃথিবীর সব জল, সব তীর
ছুঁয়ে গেছি বার বার দুর্বার ইচ্ছায়,
তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে।
সব জল, সব তীর পাহাড়ের গম্ভীর
বন্দর, বন্দর, নগরের ঘন ভিড়,
অরণ্য, প্রান্তর শূন্য তেপান্তর-
সব পথে ঘুরেছি বৃথাই রে।

পার্কের বেঞ্চিতে ঝরা পাতা ঝর্ঝর,
শার্সিতে কেঁপে-ওঠা দেয়ালের পঞ্জর
চিমনির নিন্ধনে, কাননের ক্রন্দনে
তার কথা কেবলই শুধাই রে।
তেমনি মিষ্টি ছেলে দোলনায় ঘুম যায়,
আবছায়া কাপেট কুকুরের তন্দ্রায়,
ঘরে ঘরে জ্বলে যায় স্বপ্নের মৃদু মোম
সে-ই শুধু নিয়েছে বিদায় রে।
আঁধারে জাহাজ চলে, মাণ্ডুলে জ্বলে দীপ,
যাত্রীরা সিনেমায়, কেউ নাচে, গান গায়;
আমরা তরঙ্গোর বুকে হানি প্রশ্নের
অবিরাম নর্তন, মত্ত আবর্তন- সে কোথায়,
সে কোথায়, হায় রে।


অবশেষে থামে সব, ডেক হয় নির্জন,
অকূল অন্ধকারে ফেটে পড়ে গর্জন,
সমুদ্র ওঠে দুলে, বাঁকা চাঁদ পড়ে ঝুলে-
আমাদের বিশ্রাম নেই, রে।
আমাদের বাড়ি নেই, দেশ নেই,
শেষ নেই, কেঁদে-কেঁদে মরি শুধু বাইরে,
বার-বার পারাপার যত করি, তবু তার
নেই, নেই, দেখা নেই, নেই রে।
সময় অন্তহীন, অফুরান সন্ধান,
বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান-
কোনখানে গেলে তারে পাই রে।
খুঁজে-খুঁজে ঘুরে ফিরি বাইরে,
সুরে-সুরে ব'লে যাই নেই রে,
চিরকাল উত্তাল তাই রে।'



শিক্ষাবিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ নমুনা 


পিরিয়ড সংখ্যা সহ এককের উপএককে বিভাজন
(Breaking of Unit into Sub-unit with no. of Periods)


শ্রেণি: অষ্টম
বিষয়: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
একক: 'হাওয়ার গান- বুদ্ধদেব বসু


            উপএকক                          পিরিয়ড সংখ্যা

*১. "হাওয়াদের বাড়ি নেই......
        . সব পথে ঘুরেছি বৃথাই রে"                    ১

২. "পার্কের বেঞ্চিতে ঝরা পাতা...
      ... সে কোথায়, হায় রে"                            ১

৩. "অবশেষে থামে সব.... 
      চিরকাল উত্তাল তাই রে"                         ১

৪. মূল্যায়ন ও পুনর্শিক্ষণ                              ১

               মোট পিরিয়ড সংখ্যা                     ৪

*চিহ্নিত উপএককটি বিশ্লেষণ করা হল।

উপএককের বিশ্লেষণ 
(Sub-unit wise Concept)

১. "হাওয়াদের বাড়ি নেই...সব পথে ঘুরেছি বৃথাই রে"

বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

• হাওয়ার গান' কবিতায় কবি বৃদ্ধদেব বসু বাতাসের শব্দকে মানুষের দীর্ঘশ্বাসে সঙ্গে তুলনা করে সজীব রূপ দিয়েছেন।

• বাতাস প্রকৃতির সর্বত্র বহমান তবুও যেন তাদের আপন বলে কিছুই নেই। ফলে তাদের চিত্ত যেন সর্বদা উত্তাল, অস্থির।

• পৃথিবীর সব নগর, বন্দর, পাহাড়, নদী, সমুদ্র, শূন্য প্রান্তর দুর্বার ইচ্ছায় গিয়েও বাতাসের মনে হয়েছে-বৃথা এ আবর্তন।

পূর্বার্জিত জ্ঞান (Previous Knowledge)


• শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কবির লেখা করুণরসের কবিতা পূর্বে পাঠ করেছে।

• বাতাসের শব্দধ্বনির সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পরিচিত।

নদী-পাহাড়-নগর-বন্দর প্রভৃতির মধ্যে প্রকৃতির যে বৈচিত্র্য ফুটে ওঠে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা আছে

• কান্না বা দুঃখের অনুভূতি মানুষকে কীভাবে যন্ত্রণা দেয় তার সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচিতি।


আচরণগত ক্ষেত্রে নির্দেশনামূলক উদ্দেশ্যসমূহ
(Instructional Objectives in Behavioural Terms)


বৌদ্ধিক ক্ষেত্র
জনমূলক: শিক্ষার্থীরা--

(ক) কবি বৃদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ার গান কবিতার মূল বক্তব্য 'স্মরণ করতে পারবে।
(ঘ) কবি বুদ্ধদেব বসুর, জীবন ও কার্যকৃতি স্মরণ করতে পারবে।
(খ) কবিতায় ব্যবহুত আনুসঙ্গিক ঘটনা, শব্দাদির প্রসঙ্গসুত্র, কবিতার অংশধিক প্রভৃতি জেনে বলতে পারবে।

বোধমূলক: শিক্ষার্থীরা-

(ক) কবিতায় ব্যবহৃত বিশেষ বিশেষ শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
(খ) কবিতায় উল্লিখিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে তুলনা করতে পারবে। 
(গ) কবিতায় ব্যবহৃত উপমা, রূপক এবং চিত্রকল্পের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
(ঘ) কবি কেন বাতাসের কান্নার অনুষঙ্গা এনেছেন তা বুঝে ব্যাখ্যা করতে পারবে।

প্রয়োগমূলক: শিক্ষার্থীরা-

(ক) কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ দ্বারা বাক্য রচনা করতে পারবে।
(খ) সমভাবাপন্ন অন্যান্য রচনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে বার করতে পারবে।
(গ) শব্দ, বাক্যাংশ বা কাব্যাংশের সদর্থক ব্যবহার করতে পারবে।

আনুভূতিক ক্ষেত্র: অভিব্যক্তিমূলক

• কবিতায় উল্লিখিত পৃথিবীর সমস্ত স্থানে পরিভ্রমণ করেও বাতাসের শূন্যতা কীভাবে কান্নার আকার প্রকাশিত হয়েছে, শিক্ষার্থীরা তা অনুভব করে নিজের ভাষায় প্রকাশ করতে সমর্থ হবে।

সঞ্চালন ক্ষেত্র: দক্ষতামূলক-

সুষ্ঠু উচ্চারণে, বিরামচিহ্ন সহ এবং ছন্দ-অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা কবিতাটির আদর্শপাঠ এবং আবৃত্তিতে সমর্থ হবে।

শিক্ষণ-শিখন কৌশল 
(Teaching-Learning Strategies)


বিশদ শিক্ষণ পদ্ধতি

বক্তৃতা, আলোচনা, প্রতিপাদন এবং প্রশ্নোত্তর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষক দিনের পাঠে অগ্রসর হবেন।

• কবি বুদ্ধদেব বসুর আলোচ্য কবিতায় প্রকৃতি চেতনা, সময় চেতনা, ভৌগোলিক চেতনা এবং শূন্যতা যে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে তা বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষক তুলে ধরবেন।
• প্রকৃতির অপরূপ বৈচিত্র্য কবিতায় যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, শিক্ষক তা আলোচনা পদ্ধতির মাধ্যমে তুলে ধরবেন।
• বাতাসের যে নিজস্ব আকার বা আয়তন নেই তা বোঝাবার জন্য শিক্ষক প্রতিপাদন পদ্ধতির সাহায্য নেবেন।
• বাতাসের শব্দের মধ্যে যে বৈচিত্র্য আছে তা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষক উপস্থাপিত করবেন।

পাঠসহায়ক সরঞ্জাম ও উপকরণের ব্যবহার
(Use of Teaching Aids)


• কবিতার মূলভাব সংবলিত একটি চিত্র ব্যবহৃত হবে।
• সমার্থক উদ্ধৃতির একটি তালিকা তুলনামূলক আলোচনার সময় ব্যবহৃত হবে।
• শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য 'ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস' গানটির ক্যাসেট টেপরেকর্ডারে বাজিয়ে শোনানো যেতে পারে অথবা প্রোজেক্টরের সাহায্যে ঝড়ের কোনো দৃশ্য দেখানো যেতে পারে।


বোর্ড ও চকের ব্যবহার

কবিতায় ব্যবহৃত নতুন শব্দার্থ, কবিতার উৎস, মূলভাব, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, কবিয় প্রকাশিত কবির কাব্যভাবনার স্তর প্রভৃতি শিক্ষক বোর্ডে লিখবেন এবং শিক্ষার্থীরা। খাতায় লিখে নেবে।

অনুসন্ধানী প্রশ্ন

১. গানের মাধ্যমে মানুষের কোন্ কোন্ অনুভূতি প্রকাশিত হয়?

উত্তর: মানুষের আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা, দুঃখ, শোক, বিরহ, যন্ত্রণা, গানের মধ্যদি প্রকাশিত হয়।

২. "আমি এক যাযাবর"-ভূপেন হাজারিকার এই বিখ্যাত গানে যাযাবরদের বৈশিষ্ট্য কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তর: যাযাবর জাতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তবুও তাদের নিজস্ব কোর স্থায়ী বাসস্থান কোথাও গড়ে ওঠে না। কিন্তু বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃন্ধও তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার, যেখানে সুখ আর দুঃখ পাশাপাশি অবস্থান করে। 


কাজের পাতা

১. আলোচ্য কবিতায় প্রকৃতির অনুষঙ্গে যে সমস্ত চিত্রকল্পগুলি ব্যবহৃত হয়ো সেগুলি দিয়ে একটি তালিকা নির্মাণ করো।

২. সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করো:

(ক) হাওয়াদের পাঁচ মহলা বাড়ি আছে।
(খ) কবিতায় উল্লিখিত নগর ও বন্দর ছিল জনবিরল।
(গ) বাতাসের নিশ্বাস উত্তাল, অস্থিরভাবে বয়ে যায়।
(ঘ) সব পথে বাতাসের ঘোরা সার্থক হয়েছে।




Download Full PDF:









Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!